দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে খুলনার উপকূলীয় কয়রার ছয় শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার কয়রার উত্তর বেতকাশির গাতিরঘেরি ও দক্ষিণ বেতকাশি হরিহরপুর, আংটিহারার দুর্গম এলাকার শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হন শীতার্ত হতদরিদ্ররা। জানা যায়, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ১৮ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কালের কন্ঠ শুভসংঘের পক্ষ থেকে বাছাই করে প্রকৃত শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, নদী ভাঙনের সাথে লড়াই করা অসহায় মানুষগুলো এবারের শীতে কষ্ট পাচ্ছিলেন। দুর্গম এলাকা হওয়ায় তাদের কাছে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পৌঁছে না। তাই বসুন্ধরার কম্বল হাতে পেয়ে তাদের চোখেমুখে ছিল বিস্ময় ও কৃতজ্ঞতাবোধ।
অনেকে বলেন, দুর্যোগের মধ্যে কম্বল পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। শীতের রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যাবে। তবে আপনারা কম্বল নিয়ে এতদূর আসবেন, সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি।
উল্লেখ্য, খুলনা শহর থেকে ভোরে রওয়ানা দিলে মাইক্রোবাস, ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে দেশের দক্ষিণের শেষ সীমানার এ এলাকায় পৌঁছাতে দুপুর পেরিয়ে যায়।
কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে, শুভসংঘের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য রাফি, জীবন, জেবিন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি বিপুল কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খান, দয়াল কৃষ্ণ সানা, কাজী মাহবুব রহমান, রাজীব সরকার রাহুল, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।